EDITOR
- ২ জানুয়ারী, ২০২২ /

এম এ সাত্তার:
নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন বই পাওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত হাজারো কোমলমতি শিক্ষার্থী। নতুন বই হাতে পেয়ে যেন খুশির সীমা নেই তাদের। করোনা মহামারীর জন্য এবার বই উৎসব না হলেও নতুন বছরের প্রথম দিনে বই বিতরণ চলেছে জেলার সবগুলো স্কুলে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে আট উপজেলার স্কুলে স্কুলে শুরু হয় বই বিতরণ উৎসব। জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় সব বিদ্যালয়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার সদরস্থ পিএমখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা, ছনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের অন্যরকম বই উৎসব।
অভিভাবক মোঃ হানিফ বলেন, ‘আমার মেয়ে পিএমখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। ওকে নিয়ে এসেছি। নতুন বই পেয়ে সে অনেক খুশি। সবার সাথে ছবি তুলেছে সে।’নতুন বছরে নতুন বই উপহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। একই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিয়া লোকমা’র যেন খুশিরে সীমা নেই। মাহিয়া বলে, নতুন বই হাতে পেলে অন্যরকম আনন্দ লাগে, আজও লাগছে। আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা লিপি বলে, নতুন কিছু পেলে সব সময় ভালো লাগে। তাই নতুন বই পেয়েও অন্য রকম আনন্দ হচ্ছে। ঘরে গিয়েই বইয়ে নতুন মলাট লাগাবো।
এদিকে বই বিতরণ উপলক্ষে বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ঠিকাদার কেফায়ত উল্লাহ।
প্রধান শিক্ষক এম, এন আনোয়ার পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই বিতরণ কালে, সাংবাদিক এম এ সাত্তার, শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম খোকা, পারভেজ, অভিভাবক মোঃ হানিফ সহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বছর সরকার ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন।২০১২ সাল থেকে বর্তমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে।২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি বই বিতরণ করা হয়েছে।
ভয়েস/আআ